রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
করিমগঞ্জে জামায়াতের গণসংযোগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত টুঙ্গিপাড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ একাধিক মামলার দুই আসামি গ্রেফতার। বার বার নির্বাচিত পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুল হান্নানের পক্ষ থেকে অগ্রীম ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। নারায়ণগঞ্জে তাতীদলের কর্মীসভা। রাস্তার বেহাল দশার কথা শুনে ছুটে যান নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সাত্তার। জীবননগর থানাধীন গোপালনগরে’ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত। বোরহানউদ্দিনে মানবতার আলোকবর্তিকা সমাজসেবক মোঃ কবির পালোয়ান: রাজনীতি নয়, মানুষই তার মূল প্রতিশ্রুতি পশুরহাট ইজারাদার,খামারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়। লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলড্রেস বিতরণ,

জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় জিয়াউল হকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।

ক্রাইম রিপোর্টার: কাজল
জামালপুরে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত বহুল আলোচিত মামলায় জিয়াউল হককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। সোমবার (৫ মে) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সম্মানিত বিচারক, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল ইসলাম এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম জানান, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর মাদারগঞ্জ উপজেলার দিঘলাকান্দি গ্রামের মৃত নুরল মন্ডলের পুত্র জিয়াউল হক প্রতিবেশী পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে চানাচুর খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজের মনোহারী দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর নানা মনির উদ্দিন বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত জিয়াউল হকের উপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সেইসঙ্গে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়, আসামির নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ ভুক্তভোগী শিশুর শিক্ষা ও লালন-পালনের ব্যয়ে ব্যয় করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং মামলার বাদী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম তরফদার।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।